Spoken English কি, এর গুরুত্ব কি? এটি কিভাবে সহজে শিখবো?

2/5 - (1 vote)

স্পোকেন ইংলিশ হল ইংরেজি ভাষার অপর রূপ। যেখানে শব্দগুলি নতুন আকার নেয়, যেখানে বাক্যের নেতিবাচকতা ছড়ায়। এটি হল আমাদের ভাষার রঙ, যেখানে কঠিন শব্দগুলি আরামে মিশে যায় সহজের সঙ্গে।

Spoken English হল একটি পাঠ, যা সাধারণ সময়ের ভাষা থেকে বেরিয়ে আসে অদৃশ্য আলোকের পথে। এটি হল আমাদের আত্মা, যেখানে বাস্তবের সত্য মুখোমুখি করা হয়। এর মাধ্যমে, আমরা বিদেশে ভ্রমণ, বিদেশী ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং প্রবৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারি।

স্পোকেন ইংলিশ কত প্রকার ও কি কি?

Spoken English আমাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের সাথে যুক্ত হয় এবং আমাদের ভাবনাকে পরিবর্তন করে। করে। স্পোকেন ইংলিশ মূলত তিন প্রকারে বিভক্ত হতে পারে: প্রথাগত, প্রফেশনাল, এবং একাডেমিক।

প্রথাগত স্পোকেন ইংলিশ

এটি হল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ, যেখানে আমরা আমাদের স্বভাবিক জীবনের কথা বলি।যেমন পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলা, বন্ধুদের সাথে কথা বলা বা দোকানদারের সাথে কথা বলা।

প্রফেশনাল স্পোকেন ইংলিশ

এটি আমাদের পেশাদার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইংলিশ, যেমন অফিসে মার্কেটিং কথা বলা, বা প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়া। এটি ব্যবহার করে এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পেশাদার সাফল্য অর্জন করি।

একাডেমিক স্পোকেন ইংলিশ

এটি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকে। এটি আমাদের শিক্ষকের আদর্শ এবং শিক্ষার্থীর আলোচনা এবং আলোচনার সাথে আমাদের আধুনিক শিক্ষার পথচলা সৃষ্টি করে।

Spoken English ব্যবহারের আরও অনেক উদাহরণ থাকতে পারে যেমন ইন্টারভিউ, প্রেজেন্টেশন, পাবলিক স্পিচ, সাংবাদিক সাক্ষাৎকার ইত্যাদি। তবে এই তিন প্রকারের স্পোকেন ইংলিশ নির্দিষ্ট অবস্থার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গঠন করে এবং আমাদের ভাষার ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের কাজে সাহায্য করে।

Spoken English এর গুরুত্ব কি?

Spoken English
স্পোকেন ইংলিশ এর গুরুত্ব

স্পোকেন ইংলিশ সম্পর্কে আমার অনুভূতি অত্যন্ত গভীর। এটি আমাদের জীবনে একটি অপরিসীম ভূমিকা পালন করে এবং অপূর্ব মৌলিকতা অনুভব করার জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম।

আন্তর্জাতিক যোগাযোগ

স্পোকেন ইংলিশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে একটি সুবিধাজনক উপায়। আমরা এটি ব্যবহার করে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারি এবং বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে পরিচয় গড়ে তুলতে পারি। এটি আমাদের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা বৃদ্ধি করে এবং একাধিক সংস্কৃতির মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করে।

পেশাদার উন্নতি

পেশাদার মানেই আমাদের ইংলিশের দরকার। এটি আমাদের পেশায় উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ যোগাযোগের মাধ্যম প্রদান করে। এটি আমাদের কর্মসংস্থানের সহযোগিতা ও পেশাদার সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয়।

শিক্ষার সুযোগ

শিক্ষার বিষয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পোকেন ইংলিশ শিখতে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এটি আমাদের একাডেমিক ও পেশাদার প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার অধ্যয়নে স্পোকেন ইংলিশ আমাদের শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে সুস্থ এবং প্রভাবশালী করে।

ব্যক্তিগত উন্নতি

স্পোকেন ইংলিশ অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিগত উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি পরিচিতি এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে, যা আত্মবিশ্বাস ও সামর্থ্যের অনুভূতি সৃষ্টি করে।

প্রযুক্তিগত উন্নতি

ইংলিশ আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও সংবিধান করে। এটি আমাদের নতুন প্রযুক্তিগুলির ব্যবহারের দিকে নিত্য আগ্রহী করে এবং বিজ্ঞানিক অনুসন্ধানে অংশগ্রহণে আমাদের একাধিক সুযোগ প্রদান করে।

এর দক্ষতা প্রায় প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ব্যক্তিগত ও পেশাদার উন্নতির জন্য একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিকতার সম্মুখীন হওয়ার সাথে সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সবশেষে, এটি একটি উন্নত ও আধুনিক সমাজের গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় দক্ষতা।

স্পোকেন ইংলিশ শেখার সহজ পদ্ধতি?

ইংরেজি এমন একটি ভাষা যা সারাবিশ্বে বলা হয় এবং ইংরেজি বলতে পারার দক্ষতা আপনাকে নতুন লোকের সাথে কথা বলতে ও আপনাকে আপনার ক্যারিয়ারে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে। স্পোকেন ইংলিশ শেখার যাত্রা কঠিন হতে পারে, কিন্তু ধৈর্যের সাথে অনুশীলন আপনাকে ইংরেজি শেখা সাবলীল করতে পারে।

যাইহোক, আমরা জানি একটা ভাষার চারটা দিক থাকে। তা হলো:

  • Listening (শোনা)
  • Reading (পড়া)
  • Writing (লেখা)
  • Speaking (বলা)

আজকের আলোচনায় আমরা এই চারটি দিক নিয়েই কথা বলবো।

উচ্চস্বরে প্রতিদিন ইংরেজি পড়ুন:

আপনি স্পোকেন ইংলিশকে সহজ করে শেখার জন্য কিছু পছন্দের ইংরেজি বই, ম্যাগাজিন বা ইংরেজি পত্রিকা সংগ্রহ করতে পারেন। যেসব বিষয় আপনি পড়ছেন তা উচ্চস্বরে পড়ুন। এটি আপনার কথা বলার জড়তা কাটিয়ে উঠতে বেশ সহায়তা করবে। তবে প্রথম দিকে খুব কঠিন ইংলিশ বই না পড়ে তুলনামূলক সহজ পড়তে হবে। প্রথম দিকেই কঠিন পড়া শুরু করে দিলে আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন। তবে আস্তে আস্তে স্কিল বাড়াতে হবে। আপনার পড়ার অভ্যাসটা তৈরি হলে প্রতিদিন প্রাকটিস করতেও ক্লান্ত লাগবে না।

ইংরেজি লেখা প্র্যাকটিস করুন:

আমরা বই পড়ার পাশাপাশি যদি ইংরেজি লেখাটাও প্রাকটিস করতে পারি তাহলে আমাদের ইংরেজি শেখা আরও একধাপ সহজ হয়ে যায়। মনে যা চায় তাই নিয়েই লিখতে থাকুন বা যেটা পড়েছেন ওটা মনে করে লিখতে থাকুন। ভুল হচ্ছে এই ভেবে মোটেই থেমে যাবেন না চালিয়ে যান লেখা। হাল না ছেড়ে এভাবে লেখার চর্চায় আপনাকে ইংরেজিতে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেখবেন এভাবে ইংরেজি লেখাতেও আপনি দক্ষ হয়ে উঠেছেন।

লেখায় গ্রামার মিস্টেক হচ্ছে কি না তা চেক করার জন্য Grammarly App অথবা Grammarly Extension ব্যবহার করতে পারেন।

ইংরেজি মুভি দেখুন ও গান শুনুন:

আমরা যা পড়ি তার থেকে বেশি আমরা যা দেখি বা শুনি আমাদের ব্রেইন সেটা বেশি আয়ত্ত করতে পারে। আপনি অনেক ইংরেজি মুভি পাবেন যা আপনার পছন্দের। যদি আপনি মুভি দেখতে পছন্দ নাও করেন তবু ইংরেজি শেখার স্বার্থে কিছু মুভি ডাউনলোড করে দেখতে থাকুন। আপনার লক্ষ্য স্পিকিং এ ভালো করা। সুতরাং আপনি তাদের কথা বলার ধরণ, উচ্চারণ স্টাইল ইত্যাদি লক্ষ্য করুন। মাঝে মাঝে নিজেও ওদের সাথে উচ্চারণ করুন। দেখবেন আপনার স্পোকেন ইংলিশে উন্নতি বেশ হয়েছে। তাছাড়া গান শুনতে কে না ভালোবাসি। ইংলিশ গান (English Song) শুনাও ইংরেজি শেখার সহজ একটা মাধ্যম হতে পারে।

মুভি দেখা বা গান শোনা ছাড়াও আপনার পছন্দের বিষয়ের উপর English Podcast শুনুন; যা আপনার Listening Skills বৃদ্ধি করবে।

নিজে নিজে ইংরেজিতে চিন্তা করুন:

ইংলিশ ভালো করার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা যখন ইংরেজিতে কথা বলি, তখন আগে কী বলব তা বাংলায় ভেবে নেই। তারপর সেটা মনে মনেই ইংরেজিতে অনুবাদ করি এবং তারপর ইংরেজিতে বলি। এর ফলে বারবার বাংলা এবং ইংরেজিতে আমাদের আসা-যাওয়া চলতে থাকে। যে কারণে, কথায় ফ্লুয়েন্সি থাকে না। তাই আপনি মনে মনে ইংরেজিতেই চিন্তা করুন। আপনি প্রতিনিয়ত যেসব চিন্তা করেন তা ইংরেজিতে পরিবর্তন করুন। প্রথম প্রথম এটি খুব কঠিন মনে হলেও বিশ্বাস করুন এটি প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিসে খুব সহজ হয়ে উঠবে এবং আপনি যত তাড়াতড়ি চিন্তা করতে পারবেন তত দ্রুত কথাও বলতে পারবেন।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলুন:

আপনি যদি চিন্তা করার অভ্যাসটি রপ্ত করে ফেলতে পারেন তাহলে তার পরের পদক্ষেপ নিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলা। আপনি যদি নিজের চিন্তা করা কথাগুলি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তাহলে আপনি আপনার নিজের কথা বলার অঙ্গভঙ্গি গুলো দেখতে পারবেন এবং ভুল গুলো শুধরে নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বাভাবিকভাবে ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে উঠবেন।

কথা বলার পার্টনার খুঁজে নিন:

আপনি যত ইংরেজি শিখে ফেলুন না কেন প্রতিনিয়ত কথা বলার চর্চা না থাকলে কথা বলার সময় আপনি ঘাবড়ে যাবেন। তাই এমন কিছু পার্টনার বা সঙ্গী খুঁজুন যারা আপনার সাথে কথা বলার সাথে সাথে আপনাকে অনুপ্রেরণা বা মোটিভেট করে তুলবে। এছাড়াও আপনি অনলাইনে এমন কিছু সঙ্গী খুঁজুন যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি এবং তাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করুন, এতে আপনি ওদের মতো করে উচ্চারণ করার স্টাইল ও ধরণ শিখে নিতে পারবেন খুব সহজে।

বেসিক গ্রামার শিখুন:

আমরা ইংরেজি শেখার সময় গ্রামার শেখার কথা শুনলে ভয় পেয়ে যাই, এটা ভাবি যে গ্রামার সে তো খুব কঠিন আর এটা ভেবেই আমরা ইংরেজি শেখা ধীরে ধীরে ভুলতে থাকি। তাই এতো গ্রামারের কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র বেসিক গ্রামারটা যেমন বেসিক টেন্স ও সেন্টেন্স তৈরী করা শিখে আমরা সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারি। তাই আজ থেকে গ্রামারের কথা না ভেবে এগিয়ে চলুন।

ভয় বা লজ্জা দূর করুন:

আমাদের স্পোকেন ইংলিশে কথা বলার সবচেয়ে বড়ো প্রতিবন্ধকতা হলো ভয় ও লজ্জা। আমাদের একটা চিরাচরিত অজুহাত, “এই আরেকটু শিখে নেই, তারপর বলা শুরু করবো! এই ভাবনা, ভয় ও লজ্জা নিয়ে কোনোদিন ইংরেজিতে কথা বলা সম্ভব নয়। তাই এই সব দূরে ঠেলে আপনি ভুল ভাল হলেও বলা শুরু করুন। মানুষ কি বলবে তা ভাববেন না, কারণ মানুষ বলবেই। ভুল করতে করতেই আপনি এক সময় দক্ষ হয়ে উঠবেন। তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়া আবশ্যক।

আরো জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।

শেষ কথা:

সর্বোপরি উপরে দেওয়া প্রতিটি ধাপ আপনি যদি প্রতিনিয়ত অনুসরণ করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ে আপনি একজন পারদর্শী হয়ে উঠবেন। আপনি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে উঠুন এই শুভাকামনা করি। আপনার যদি কোনো মূল্যবান মতামত থাকে কমেন্টে লিখতে ভুলবেন না এবং লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু আর এই ধরনের কনটেন্ট পেতে আমাদের পেজটিকে ফলো করুন

Sharing Is Caring:

Leave a Comment